ফিতনার সময় করনীয়: এই ব্যপারে সবচেয়ে বেশি হাদিস আছে মুসলিম শরিফে। তাই আমি উপদেশ

 
Written By Sanjir Habib On May-23rd, 2015

ফিতনার সময় করনীয়:

এই ব্যপারে সবচেয়ে বেশি হাদিস আছে মুসলিম শরিফে। তাই আমি উপদেশ দেবো মুসলিম শরিফ খুলে এই চ্যপ্টারগুলো বের করে ঐ চ্যপটারের সবগুলো হাদিস পড়ে নিতে। বেশি সময় লাগবে না ইনশাল্লাহ।

নিচে কিছু আর্টিকেল কপি পেষ্ট করলাম। অনুবাদ আমি সাধারনতঃ ভেরিফাই করে দেই। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার জন্য এখানে এটা করি নি।

paste

ফিতনার সময় যেহেতু যুদ্ধরত ও বিবাদমান দলগুলোর কোনটির দাবী সত্য তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। তাই তিনি এহেন জটিল পরিস্থিতে কোন দলের পক্ষে যোগদিয়ে যুদ্ধে নামতে নিষেধ করেছেন। সে সময় যার ছাগলের পাল থাকবে তাকে ছাগলের পাল নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় চলে যেতে বলেছেন কিংবা ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্তে প্রহরায় নিযুক্ত থাকতে বলেছেন।

মুসলমানদের যুদ্ধরত দলগুলো সেখানে পৌঁছে গেলে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেও যুদ্ধে শরীক হতে নিষেধ করেছেন। কারণ এটাই হবে তার ঈমানের জন্যে নিরাপদ।

নবী সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

অচিরেই বিভিন্ন রকম ফিতনার আবির্ভাব ঘটবে। ফিতনার সময় বসে থাকা ব্যক্তি ফিতনার দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসরমান ব্যক্তির চেয়ে এবং পায়ে হেঁটে চলমান ব্যক্তি আরোহী ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক নিরাপদ ও উত্তম হবে। ফিতনা শুরু হয়ে গেলে যার উট থাকবে সে যেন উটের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং যার ছাগল থাকবে, সে যেন ছাগলের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর যার চাষাবাদের যমীন আছে, সে যেন চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত থাকে।

এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোঃ হে আল্লাহর নবী! যার কোন কিছুই নেই সে কি করবে?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ পাথর দিয়ে তার তলোয়ারকে ভোঁতা করে নিরস্ত্র হয়ে যাবে এবং ফিতনা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করবে।

অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি?

অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! কেউ যদি আমাকে জোর করে কোন দলে নিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে কারো তলোয়ার বা তীরের আঘাতে আমি নিহত হই, তাহলে আমার অবস্থা কী হবে?

উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ‘‘সে তার পাপ এবং তোমার পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামের অধিবাসী হবে’’।

– মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।

ফিতনার সময় ইবাদতে লিপ্ত থাকাঃ

রাসূল ﷺ বলেনঃ “ফিতনার সময় আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকা আমার নিকট হিজরত করে আসার মত”।

– মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।