মটিভেশন্যল স্পিচ, যারা কোরআন শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য।

 
Written By Sanjir Habib On Sep-14th, 2017

মটিভেশন্যল স্পিচ, যারা কোরআন শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য।


যদি ২ সপ্তাহ মিলে মাত্র ১ পৃষ্ঠা শিখেন, তবুও আপনি ২৫-৩০ বছরে পূর্ন কোরআন শিখে ফেলতে পারবেন। যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে তাদের জন্য এটা খুবই প্রেকটিক্যল সলুশন।


তবে প্রতিদিন খুব সামান্য সময় হলেও দিতে হবে। ৩০ মিনিট মনে করেন। প্রতিদিন না হলে এগুতে পারবেন না। আগের পড়া ভুলে যাবেন, আবার পড়তে হবে। এভাবে এক জায়গায় আটকে যাবেন।


দেশে একটা বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, কোরআন হিফজ করতে চাইলে পুরো ৩০ পারা শিখতে হবে। নচেৎ তার শেষ ১০ সুরা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। কেউ যদি পূর্ন কোরআন শেখার চেষ্টা করে ৮-১০ পারা শিখে আটকে যায়, তবে ধরা হয় সে ব্যর্থ। ম্যট্রিক ফেলের মত অবস্থা। এর থেকে যেন না শেখাই ভালো ছিলো। এটা ভুল ধারনা।

কাউকে বলে দেখেন “আমি চিন্তা করছি কোরআন শরিফ হেফজ করবো।”
সে মোষ্ট লাইকলি উত্তর দেবে, “এই বয়সে? পারবে না।”

তার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আপনি ব্যর্থ যদি পুরো ৩০ পারা শিখতে না পারেন। আর যদি না পারেন তবে আপনার বরং ১০ টা ছোট সুরা শিখে বসে থাকা উচিৎ।


আবার বলছি এটা ভুল ধারনা। ৮ পারা আর ১০ সুরা জানার মাঝে বিশাল পার্থক্য।

৩০ পারা শেখার সাহস যদি এখনই না হয়, তবে ৮ পারা শেখার দিকে যান।


কিছু অংশ শিখতে চাইলে আমি এই সিরিয়ালে শিখতে বলবো,

প্রথমে শেষ দুই পারা। এতটুকু হলে ১০০০ আয়াত শেখা হয়ে যাবে এবং তাহাজ্জুদে এর পর কোনো সমস্যা হবে না। রাতে তাহাজ্জুদে যে ১০০০ আয়াত পড়বে তাকে মুকান্তারিনদের একজন করা হবে। আবু দাউদ শরিফের হাদিস।
https://sunnah.com/abudawud/6/28


এর পর সুরা বাকারা। কারন কোরআন শরিফে হালাল-হারামের যা হুকুমগুলো এসেছে এগুলোর অধিকাংশ এই সুরাতে চলে এসেছে। সুরাটা একটু লম্বা। কিন্তু সাধারন লোক যত কঠিন মনে করে তত কঠিন না। শিখতে থাকলে হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

ওমর রা: ১২ বছর লাগিয়ে সুরা বাকার শিখেছিলেন। শেখা শেষ হবার পর উনি একটা উট কোরবানী করেছিলেন। উনার ছেলে আব্দুল্লাহ রা: এর লেগেছিলো ১৪ বছর। এর পরও কেউ চুপ করে বসে ছিলেন না।


বলেছিলাম মটিভেশনার স্পিচ দেবো।

সাহাবা কিরামদের আধিকাংশ, যেমন আবু বকর, ওমর, উথমান রা:, কেউ ছোট কালে হাফেজ হয় নি। প্রায় সবাই ৪০ বছর বয়স পার করে হয়েছে।

Let them be our motivation.