মাজহাবগত পার্থক্য - ১৩ : এদেশে সালাফিগন

 
Written By Sanjir Habib On Mar-16th, 2017

মাজহাবগত পার্থক্য - ১৩ : এদেশে সালাফিগন

লম্বা এবং সঠিক ইতিহাস কিতাবে আছে। আমি সংক্ষেপে আমার দেখা বর্ননা করছি।


৮০ দশক - আহলে হাদিস।

ঐ সময়ে মূলতঃ ছিলো শুধু আহলে হাদিস। হানাফিদের সাথে আকিদা গত পার্থক্য ছিলো “তকলিক করা যাবে না” এটা নিয়ে। “হানাফি মাজহাব অনুসরন করলে আবু হানিফার অনুসরন করা হবে এবং রাসুলুল্লাহ ﷺ এর অনুসরন করা হবে না।” এরকম। অর্থাৎ মাজহাব অনুসরন করলে সে বাতেল।

তবে বেশির ভাগ বসচা চলতো নামাজ কিভাবে পড়া হবে সেটা নিযে। রাফে ইয়াদাইন, জোরে আমিন, ইমামের পেছনে কিরাত এসব।


আহলে হাদিস সম্পর্কে আমার প্রথম জানা হয় ১৯৮৬-৮৮ এর দিকে। তারা একটা বই বের করেছিলো “রসুলুল্লাহ ﷺ এর নামাজ আর আমাদের নামাজ - ভুল প্রমানে ১ লক্ষ টাকা চ্যলেঞ্জ” এ ধরনের নামে।

১ লক্ষ টাকা ঐ সময়ে অনেক বড় অংক ছিলো। তাই বইটা দেশে সে সময়ে বেশ আলোড়ন ফেলেছিলো। এটা ফ্রি বিতরন করা হতো।


পরবর্তিতে সৌদি সালাফিদের সাথে আহলে হাদিসের পার্থক্য খুজছিলাম অনেক দিন ধরে। শুধু একটা পেয়েছে। আহলে হাদিসের মতে এক সাথে তিন তালাক দিলে এক তালাক পতিত হবে। সৌদি সালাফি এবং বাকি চার মাজহাবের মতে তিন তালাকই হবে।

বৌ তালাকের ফতোয়া নিয়ে তখন বেশ গন্ডোগোল হতো। খবরে আসতো, তিন তালাক দেবার পর স্বামি স্ত্রী দুজনেই দাবি করছে আমরা হানাফি থেকে আহলে হাদিস হয়ে গিয়েছি। তাই তিন তালাক হয় নি। : -)


১ লক্ষ টাকা চ্যলেঞ্জের জন্য কেন্দ্রের ঠিকানা দেয়া ছিলো খুলনা। খুলনায় একবার আমি আহলে হাদিস মসজিদে গিয়ে নামাজও পড়ে এসেছিলাম। খারাপ লাগে নি। পার্থক্য ছিলো জামাত শেষ হবার সংগে সংগে দ্বিতীয় জামাত আরম্ভ করেছিলো বারান্দায়। সেটা শেষ হবার পর তৃতীয় জামাত। এরকম।


এক আলেমের সাথে কথা বলেছি যিনি ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার। জিজ্ঞাসা করেছিলাম “আহলে হাদিস কি বাতেল?” উনি জবাব দিয়েছিলেন, “না, তারাও ঠিক আছে। কিন্তু তাদের সমস্যা হলো তারা তর্ক করে বেশি আর আলেমদের সম্মান করে না।”

এর পর থেকে আমারও সেই মত। Anchor bias বলে একটা কথা আছে যেহেতু : -)