মাজহাবগত পার্থক্য - ৯ : হজ্জ

 
Written By Sanjir Habib On Jan-31st, 2017

মাজহাবগত পার্থক্য - ৯ : হজ্জ

মিনাতে নামাজ কসর হবে কিনা এবং প্রথম দিনের কাজগুলো আগে পরে করা যাবে কিনা এই দুটো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। বাকিগুলো যে যার মত করে কোনো সমস্যা ছাড়া।


সালাফি: মিনা-আরাফার দিনগুলোতে নামাজ কসর করতে হবে। মুকিম হোক বা মুসাফির।

হানাফি: মুকিমরা পুরো নামাজ পড়বে। হজ্জের ১৫ দিন আগে যারা মক্কায় এসে থেকেছে তারা পুরো চার রাকাত পড়বে।


হানাফি: ঈদের দিন প্রথমে পাথর মারতে হবে, এর পর কোরবানী এর পর মাথা চাছা। এই সিরিয়াল মেইন্টেইন করা ওয়াজিব। আগে পরে হলে দম দিতে হবে।

সালাফি: উপরের সিরিয়ালটা উত্তম। কিন্তু ওয়াজিব না বা ভাঙ্গলে দম দিতে হবে না।


সালাফি: হজ্জের ফরজ ৪ টা ইহরাম, আরাফা, তোয়াফ, সায়ি।
হানাফি: ৩ টী ইহরাম, আরাফা, তোয়াফ। এর বাইরে সায়ি ওয়াজিব।


সালাফি: মিনার দিনগুলোতে মিনাতে থাকা ওয়াজিব। না থাকলে দম দিতে হবে।

হানাফি: মিনাতে থাকা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অন্যান্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা থেকে এটা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু না থাকলে দম দিতে হবে না যেহেতু ওয়াজিব না।


হানাফি: তোয়াফে জিয়ারা ১২ তারিখের মধ্যে করা ওয়াজিব। না করলে পরবর্তিতে তওয়াফ করে নিয়ে দম দিতে হবে।

সালাফি: ১২ তারিখের মাঝে করা শর্ত না। পরেও যে কোনো দিন করা যায় এবং এর জন্য দম দিতে হবে না।


সালাফি: তোয়াফে জিয়ারায় রমল হবে না।
হানাফি: তোয়াফে জিয়ারার পরে সায়ি করতে হলে রমল করতে হবে।


এর বর্তমানে এখন পাথর মারার ২য়, ৩য় দিনে সৌদি আলেমগন ভীড়ের জন্য সকাল থেকে পাথর মারা অনুমতি দেন। এটা সম্ভবতঃ আরম্ভ হয়েছে ২০০৭ সাল থেকে।

হানাফি মাজহাবে জোহরের আগে ঐ দিনগুলোতে পাথর মারলে হবে না। সময় মত দ্বিতীয়বার মারতে হবে। বা দম দিতে হবে।

#HabibDiff
#HabibHajj