বড় হবার পরও কিভাবে কোরআন মুখস্ত করবেন।

 
Written By Sanjir Habib On Jan-24th, 2017

বড় হবার পরও কিভাবে কোরআন মুখস্ত করবেন।

১। প্রথম কাজ হলো তিলওয়াত শুদ্ধ করে নেয়া। এটা একা একা পারবেন না। কোনো আলেমের থেকে শিখে নিতে হবে। যদি ছোটকালে শিখে থাকেন এবং এখনো কনফিডেন্ট যে আপনার তিলওয়াত ঠিক আছে, তবে যে কোনো আলেমের কাছে ১০ মিনিট বসে বলবেন “দেখেন তো আমি কোরআন দেখে দেখে পড়ছি। আমার পড়া ঠিক আছে কিনা?”

যদি বলে ঠিক আছে, তবে হলো।

২। অনেকে ধারনা করে মুখস্ত করার জন্য দ্রুত বার বার পড়তে হয়। এটা ভুল। খুব শুদ্ধভাবে পূর্ন মনোযোগ দিয়ে একটা একটা শব্দ পড়তে হবে। একটা শব্দকেই কয়েকবার যতক্ষন না সেটা শিখা হচ্ছে। এর পর পরের শব্দ। দ্রুত না। বরং শুদ্ধ করে ধীরে তেলওয়াতের মত।

৩। আপনার সময়ের ৯০% সময় যাবে আগের মুখস্ত রিভিউ করতে। ১০% সময় নতুন মুখস্ত করার পেছনে। এটাই স্বাভাবিক।

৪। মুখস্ত করার সবচেয়ে উত্তম সময় ফজরের আগে। কারো মতে মাগরিবের পরে। তবে মাগরিবের পরে ছাত্ররা ছাড়া বাকি সবাই ব্যস্ত থাকে।

কমপক্ষে ৩০ মিনিট পড়লেও আগাতে পারবেন। এটা নতুন মুখস্ত করার জন্য।

৫। রিভিউ যখনই অবসর পান করতে হবে। জ্যমে আটকিয়ে আছেন? অপেক্ষা করছেন? এই সব সময়ে।

৬। একটা ভালো প্রেকটিশ হলো প্রতি নামাজের ২০ মিনিট আগে মসজিদে চলে গিয়ে জামাতের পুর্ব পর্যন্ত রিভিউ করা।

৭। প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের সময় যতটুকু আপনার আগে মুখস্ত আছে সেখান থেকে ১ পারা করে পড়তে হবে। এটা একটা ভিত্তির মত যেটা করলে আপনি আর আগের মুখস্ত ভুলবেন না ইনশাল্লাহ। কোরআনের নূর নিজের মাঝে রিফ্লেক্ট হবে। এবং সমস্যায় পড়ে গেলে স্বরন হয়ে যাবে, ঐ আয়াতে এই কথা ছিলো, সেই আয়াতে আল্লাহ বলেছিলেন এই কথা। এরকম। পথ খুজে পাবেন।

৮। প্রথম ৫ পারা মূখস্ত করা একটু কষ্টকর হবে। কিন্তু এটা হয়ে গেলে বাকিটা এর পর সহজ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

৯। মুখস্ত করার সময় কেউ প্রথম সুরা বাকারা থেকে আরম্ভ করে। কেউ শেষ থেকে একটা একটা সুরা মুখস্ত করে প্রথম দিকে আসতে থাকে। অনেক মাদ্রাসায় শেষ ৫ পারা মুখস্ত করিয়ে এর পর প্রথম থেকে আরম্ভ করে। যেটা আপনার ভালো মনে হয়।

১০। আপনি কোরআন শরিফের যে কপি থেকে মুখস্ত করবেন সারা জীবন ঐ জায়গা পড়ার সময়ে ঐ বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো আপনার চোখে ভাসবে। তাই একটা ভালো কপি থেকে মুখস্ত করতে হবে।

হাফেজি কোরআন হয় ২০ পৃষ্ঠায় প্রতি পারা। এরকম একটা কোরআন শরিফের কপি জোগাড় করতে হবে। যত হাফেজ আছে কেউ আয়াতের নম্বর না বলতে পারলেও ঐ পৃষ্ঠা আরম্ভ হয়েছে এই আয়াত থেকে এটা বলতে পারবেন। এটা চোখে ভাসবে।

এর জন্য বাংলাদেশে প্রচলিত হলো নূরানী হাফেজী কোরআন। তবে আমার কাছে সৌদি উথমানী প্রিন্ট কোরআন আরো সহজ মনে হয়। দুটোই ২০ পৃষ্ঠায় পারা। কিন্তু কিছু পার্থক্য আছে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের পথ দেখান।
আমারা উনার কাছে ফিরছি।

#MemorizeQuran
পরবর্তি খন্ড:
অর্থ বুঝে মুখস্ত করা
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154266632568176