১ ফিতনার ব্যপারে কিছু পোস্ট করলে মাঝে মাঝে কমেন্ট আসে, "তাহলে আব্দুল্লাহ বিন

 
Written By Sanjir Habib On Oct-12th, 2016


ফিতনার ব্যপারে কিছু পোস্ট করলে মাঝে মাঝে কমেন্ট আসে, “তাহলে আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর? আলী রা:? এদের ব্যপারে কি বলবেন?”

এই সব ব্যপারে আমি সাধারনতঃ কোনো কমেন্ট করি না। ডিফেনস এনালাইসিস কিছুই না।

ছাত্রাবস্থায় যে কয়েকটা জিনিস শিখেছিলাম তার মাঝে এটা ছিলো যে: আহলে সুন্নাহর শিক্ষা হলো সাহাবা কিরামগনের নিজেদের মাঝে যে ঘটনা গুলো হয়েছিলো সেগুলোর ঘটনা শুধু বর্ননা করে যাওয়া। কিন্তু এই ব্যপারে কোনো কমেন্ট না করা।

যাদেরকেই দেখেছি এই ব্যপারে বিচার বিশ্লেষন করে কোনো “হক দল” বের করে তার পক্ষ নিয়েছে তারা নিজেরা পরবর্তিতে ঐ ধরনের ফিতনায় পড়ে গিয়েছে যেটা নিয়ে সাহাবা কিরামগনকে প্রথমে দোষারোপ করেছিলো।


“তকদির” বা “কদর” এর ব্যপারে একটা কথা আছে: এই ব্যপারে তর্ক করো না। বেশি কথা বলো না। জাস্টিফাই করার চেষ্টা করো না। “আগে থেকেই যদি সব ঠিক করা থাকে তাহলে…..?” “এর ব্যখ্যা কি?” “এটা তো হতে পারে না” এই সব ব্যখ্যায় যেও না।

বরং আমি জেনে নেই তকদির কি, কি বিশ্বাস করতে হবে, এবং এর পর অন্ধভাবে বিশ্বাস করি। আমার বোধে আসুক বা না আসুক।

ফিতনাও অনেকটা এরকম। বেশি ব্যবচ্ছেদ এনালাইসিস জাসটিফিকেশন করতে থাকেল ঐ ফিতনায় নিজে পড়ে যাবার আশংকা আছে।


আল্লাহ তায়ালা মানুষকে পরিক্ষা করেন, আল্লাহ মানুষকে বিচার করেন।
মানুষ আল্লাহকে পরিক্ষা করে না, বা রবের কাজের বিচার করে না।

আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর রাখেন।