আস শাহরান

 
Written By Sanjir Habib On Jun-21st, 2021
আস শাহরানের কবিতাটা এখানে সেইভ করে রাখলাম। ব্যাখ্যা ছাড়া। এর পর সময় পেলে ইনশাল্লাহ আমার ব্যাখ্যা। কতটুকু মিললো আলোচনা।

[১]
সূচনাতেই প্রশংসা তার,
যিনি সৃষ্টি করেছেন জমিন ও আকাশ।
অতিত থাক, আগামীর কিছু কথা,
আমি করিবো প্রকাশ।

[২]
বিংশ শতাব্দীর বিংশ সনে,
কিছু করে হের ফের।
প্রকাশ ঘটিবে ভন্ড ''মাহাদী''
ভুখন্ড তুরষ্কের।

[৩]
স্বপ্ত বর্ণে নামের মালা,
''হা'' দিয়ে শুরু তার,
খতমে থাকিবে ''ইয়া" - সে,
"মাহাদী" র মিথ্যা দাবিদার।

[৪]
বাংলা ভূমির দ্বীনের সেনারা,
করিবে মিথ্যার প্রতিবাদ।
জালিমের ভূখন্ড হয়েছিল দু' ভাগ,
সত্য ভাগে হবে ভন্ড বরবাদ।

[৫]
প্রস্তুত নিবে ক্ষুদ্র সেনারা,
"শীণ"-"মীম" এর নিড়ে।
দিয়ে জয় গান -"আল্লাহ মহান",
আঘাত হানিবে শত্রুর ঘাড়ে।

[৬]
অতি সত্তর পাঞ্জাব কেন্দ্রে,
গাইবে মুমিনেরা জয়গান।
একটি শহর আসিবে দখলে,
ঈমানদার দের খোদার দান।


[৭]
অতঃপর দেখবে নদী পাড়ে,
সকল বিশ্ববাসীগন।
চাক্বচিক্কেই হয়না সোনা,
বুঝবেনা তা লোভীদের মন।

[৮]
একটি " শীন", দুইটি "আলিফ",
তিন ভুখন্ডেই হবে ঝড়।
বিদায় জানালো মহাদূত
তার তের-নব্বই-এক পর।

// শেষ দুই লাইনের অর্থ রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ওফাতের ১৩৯১ বছর পরে।

[৯]
যে ভূমি থেকে দিয়েছিলো নিষেধ,
খোদার প্রিয় নবী।
নিষেধ ভুলিবে, করিবে রণ,
তাতে হইবেনা কামিয়াবি।

[১০]
দুপক্ষ কাল চলিবে লড়াই,
দখল করিতে জলাংশ।
প্রতি নয় জনের, সাত জনই হায়,
হইবে সে রনে ধ্বংস।

// দু পক্ষ কাল, মানে ১৫ দিনে এক পক্ষ, ৩০ দিন। আগের আমলের হিসাব।

[১১]
যেখান থেকে এসেছিলো ধন,
চলে যাবে সেথায় ফের।
বুঝছোনা কেন? এটা তোমাদের,
পরীক্ষা ঈমানের।

[১২]
একটি শহর পেয়েছে মুমিনেরা,
হারাইবে অনুরুপ একটি।
স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দীরও পর,
হাত ছাড়া হবে দেশটি।

[১৩]
পঞ্চ হরফ "শীন"-এ শুরু,
"নুন" -এ খতম নাম।
মিত্র দলের আশ্রয়েতে,
নেতা হইবে অপমান।

[১৪]
ফিতর-আযহার মাঝখানেতে,
বোঝাইবেন আল্লাহ তা-য়ালা।
মুসলিম নেতা হয়েও,
কাফেরের বন্ধু হবার জ্বালা।

[১৫]
ছাড়বে সে যে শাষন গদি,
থাকবেনা বেশি আর।
দেশের লোকে দেখে তাকে,
জানাইবে ধিক্কার।


[১৬]
কাশ্মীর হারিয়ে কাফের জাতি,
ক্ষিপ্ত থাকিবে যখন।
ছলনা বলে দুসনের মাঝেই,
তারা করিবে পার্শভুম দখল।

[১৭]
পাপে লিপ্ত হিন্দবাসী, সে ভুমে,
ছাড়াইবে শোয়া কোটি ছয় খুন।
চোখের সামনে ইজ্জত হারাইবে,
লক্ষ-কোটি মা বোন।

// সোয়া কোটি ছয় মানে ১কোটি ২৫ লক্ষ + আরো ৬ কোটি বা লক্ষ।

[১৮]
সময় থাকতে হয়ে যেও জোট,
সেই সবুজ ভুখন্ডের যুবকগন।
অচিরেই দেখবে চোখের সামনে,
হত্যা হবে কত প্রিয়জন।

[১৯]
আহাজারী আর কান্নায় ভারী,
সে ভুমি হইবে ঘোড় কারবালা।
খোদার মদদে "শীন" "মীম" সেক্ষণে,
আগাইবে করিতে শত্রুর মুকাবিলা।

[২০]
"শীন" সে তো "সাহেবে কিরান",
"মীম"-এ "হাবিবুল্লাহ"!
জালিমের ভুমিতে ঘটাইবে মহালয়,
সাথে আছে "মহান আল্লাহ"!

[২১]
"হাবিবুল্লাহ" প্রেরিত আমির,
সহচর তার "সাহেবে কিরান"।
কিরানের হাতে থাকিবে জিহাদের,
কুদরতি অস্র "উসমান"!


[২২]
বীর গাজিগন আগাইবে জিহাদে,
করিবে মরন-পণ মহারণ!
খোদার রাহে করিবে হত্যা,
অসংখ্য কাফেরকে মু'মিন গন।

[২৩]
সে ক্ষনে মিলিবে দক্ষিনী বাতাস,
মুমিনদের সাথে দুই আলিফদ্বয়।
মুশরিক জাতি পরাজয় মানবে,
মুমিনদের হইবে বিজয়।

[২৪]
দ্বীন থেকে দূরে ছিলো সে যে,
ছয় (৬) হরফেতে তাহার নাম।
প্রথমে "গাফ" খতমে "শাহা",
স্ব-পরিবারে আনিবে ঈমান।

[২৫]
হিন্দুস্থানেই হিন্দু রেওয়াজ,
থাকিবেনা তিল পরিমান।
আল্লাহর খাছ রহমত হবে,
মুমিনদের উপর বরিষান।

[২৬]
অন্যত্র পশ্চিমা বিশ্ব তখন,
সৃষ্টি করিবে বিপর্যয়।
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে,
ঘটাইবে বড় মহালয়।

[২৭]
দ্বিতীয় বিশ্ব সমর শেষে,
আষি বর্ষ পর।
শুরু হবে ফের অতি ভয়াবহ,
তৃতীয় বিশ্ব সমর।

// ১৯৪৫ যুদ্ধ শেষ + ৮০ = ২০২৫

[২৮]
কুর্দি কে এ রনে করিবে ধ্বংস,
কঠিন হস্তে আরমেনিয়া।
আরমেনিয়ায় ঝড় তুলিবে,
সম্মুখ সমরে রাশিয়া।

[২৯]
রাশিয়া পাইবে কঠিন শাস্তি,
মাধ্যম হইবে তুরষ্ক।
তাহার পরেই এই মাধ্যমকে,
কুর্দি করিবে ধ্বংস।

[৩০]
এরই মাঝেই চালাবে তান্ডব,
পার্শদেশ কে হিন্দুস্থান।
বজ্রাঘাতে হইবে ধ্বংস,
বেইমানের হাতে পাকিস্থান।

[৩১]
তাহার পরেই হিন্দুস্থান কে,
ধ্বংস করিবে তিব্বত।
তিব্বত কে করিবে সে রনে তখন,
একটি আলিফ বধ।

[৩২]
চতূর্মূখী বজ্রাঘাতে সে,
"আলিফ" হইবে নিঃশ্বেষ।
ইতিহাসে শুধুই থাকিবে নাম,
মুছে যাবে সেই দেশ।

[৩৩]
বিশ্ব রনে কালো ধোয়ায়,
অন্ধকার থাকিবে আকাশ।
দেখিবে তখন জগৎবাসী,
দুখানের দশম বাণীর প্রকাশ।

[৩৪]
সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে,
বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত।
দুই-তৃতীয়াংশ মানব হারাইবে প্রান,
রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।

[৩৫]
ভয়ংকর এই শাস্তির কারন,
বলে যাই আমি এক্ষণে।
নিম্নের কিছু কথা তোমরা,
রাখিও স্মরনে।

[৩৬]
মহা সমরের পূর্বে দেখিবে,
প্রকাশ পাইবেন "মাহমুদ"।
পাশে থাকিবেন "শীন" ও "জ্যোতি",
সে প্রকৃতই রবের দূত।

[৩৭]
হিন্দুস্থান থেকে যদিও একজন,
জানাইবে “মাহমুদ” এর দাবি।
খোদা করিবেন সেই ভন্ডকে ধ্বংস,
সে হইবেনা কামিয়াবি।

[৩৮]
হাতে লাঠি, পাশে জ্যোতি,
সাথে সহচর "শীন"।
মাহমুদ এসে এই জমিনে,
প্রতিষ্ঠা করিবেন দ্বীন।

[৩৯]
"সত্য"-সহ করিবেন আগমন
তবুও করিবে অস্বিকার।
হক্বের উপর করবে বাতিল,
কঠিন অন্যায়-অবিচার।

[৪০]
অবিশ্বাসী জাতির উপর
গজব নাজিল হবে তখন,
পচিশ সনের মহা সমরে,
ধোয়ার আযাব আসিবে যখন।

[৪১]
লিখে রাখা আছে খুজে দেখো
তবে, মহানবীর (ছাঃ) পূথিতে।
আধুনিকতার হইবে ধ্বংস,
পৃথিবী ফিরে যাবে অতিতে।

[৪২]
থাকবেনা আর আকাশ মিডিয়া,
থাকবেনা আনবিক অস্র।
ফিরে পাবে ফের, ইতিহাস দৃশ্য,
ঘোড়া-তরবারির চিত্র।

[৪৩]
গায়েবি ধ্বনির যন্ত্র ধ্বংস,
নিকটই হবে দুর।
প্রাচ্যে বসে শুনবেনা আর,
প্রতিচির গান সুর।

[৪৪]
সৃষ্টির উপর হাত খেলানোর,
করেছো দুঃসাহসিকতা।
শাস্তি তোমাদের পেতেই হবে,
তাইতো এই বিধ্বংস্ততা।

[৪৫]
বাংলায় তোমরা করেছো পূজা,
মুশরিকি "বা’আল" দেবতার।
মুসলিম হয়েও কেন তোমরা,
হারাচ্ছো নিজেদের অধিকার?


[৪৬]
আধুনিকতার কারনে মানুষ,
লিপ্ত নগ্নতা-অশ্লীলতায়।
বে পর্দা নারী, মূর্খ আলেম তাইতো-
পচিশে ধ্বংস হবে সব অন্যায়।

// পচিশে মানে ২০২৫ সালে

[৪৭]
আকাশে আলামত; জন্ম হলো,
দ্বিতীয় আবু সুফিয়ান।
চল্লিশ বছরে প্রকাশ পাবে,
দুটি শক্তিতে সে বলিয়ান।

[৪৮]
মহাযুদ্ধের দু সনের মাঝেই
ভয়ংকরি এক তান্ডবে।
মুসলিমদের উপর আক্রমনে,
সুফিয়ানির জয় হবে বাগদাদে।

[৪৯]
সিরিয়াবাসী আবু সুফিয়ান,
তারপর হবে একটু স্থির।
কালো পতাকাধারী পূর্বের সেনারা,
জমাইবে আরবে ভীড়।

[৫০]
আরবে তখনও চলিবে তিনজন,
সার্থলোভি নেতার লড়াই।
আল্লাহর দ্বীন ভুলে গিয়ে তারা,
দেখাবে ক্ষমতার বড়াই।

[৫১]
আধুনিকতার অধ্বঃপতনের,
তৃতীয় বর্ষপর।
আঠাশে প্রকাশ পাইবেন "মাহদী",
এই দুনিয়ার ঊপর।


[৫২]
শত অপেক্ষার অবসাণ ঘটিয়ে,
ইমাম মাহদির হবে আগমন।
দুঃখ দুর্দশা হবে দুর, শান্তিতে
ভরে যাবে এ ভুবন।


[৫৩]
শুনে রাখো তোমরা বিশ্ববাসী,
মাহদির দেখা পেলে,
তার পাশেই রবে রবের রহমত,
শুয়াইব ইবনে ছালেহ।

[৫৪]
কালো পতাকাধারী "মাহমুদ" সেনারা,
মাহদী-র হাতে নিবে শপথ।
আরবে করিবে ঘোরতর রণ,
অতঃপর আনিবে আলোর পথ।

[৫৫]
মধ্য রমজানের ভোরের আকাশে,
জিব্রাইল দেবেন ভাষণ।
প্রকাশ পাবেন, ক্ষমতায় যাবেন,
"মাহদী " করবেন বিশ্ব শাষন।

[৫৬]
মাকামে ইব্রাহিম ও কাবা গৃহ,
এ দুয়ের মধ্যখানে,
মাহদির সত্যায়ন দিবেন জিব্রাইল,
প্রকাশ্য মজলিসে দিবালোকে।

[৫৭]
সেই মজলিসে ইমাম মাহমুদ কে,
খোদা সম্মান দান করিবেন।
রহস্য উদ্ঘাটনের সেই দৃশ্য,
সবাই স্বচক্ষে দেখিতে পাইবেন।

[৫৮]
আক্রমন করিতে আসিবে মাহদিকে,
অসংখ্য সেনা সহ সুফিয়ান।
বায়দাহ নামক প্রান্তরে এসে,
ধ্বসে যাবে সাত হাজার তিনশ প্রান।

[৫৯]
যদিও সে স্থানে ভুমি ধ্বসের ফলে,
হারাইবে সকলেই প্রান।
খোদার কুদরত; বেচে রবে শুধু,
দ্বিতীয় আবু সুফিয়ান।

[৬০]
প্রান ভিক্ষা পেয়ে আবু সুফিয়ান,
মাহদির প্রচারনা চালাবে,
অবশেষে সে ঈমান হারা হয়ে,
মৃত্যু বরন করিবে।

[৬১]
সমগ্র বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধানরা,
মাহদির হাতে নেবে শপথ।
বাদশাহি পাবে ইমাম মুহাম্মাদ,
পৃথিবী কে দেখাবেন সুপথ।

[৬২]
ফলমুল, শস্যদানা ও উদ্ভিদমালার,
বহুগুনে হবে উৎপাদন।
আল্লাহুর খাছ রহমত পেয়ে,
শান্তিতে রবে জনগন।

[৬৩]
রবের চারটি দূত তখন,
থাকিবে দুনিয়ার উপর।
"মীম" ও "মীম" দুইটি আমীর,
"শীন" ও "শীন" তাদের সহচর।

[৬৪]
বাদশাহী পেয়ে বিশ্বনেতা,
সাত থেকে নয় বছরের পর।
ভারপ্রাপ্ত করিবে খেলাফত,
মাহদী, মাহমুদ এর উপর।

[৬৫]
দু সনের মধ্যেই ইমাম মাহমুদ,
বিশ্ব শাষন ভার।
হস্তান্তর করিবেন খেলাফত,
“মুনসুরের” উপর।

[৬৬]
কাহতান বংশীয়, লাঠি হাতে,
বড় কপাল বিশিষ্ঠ।
বিশ্ব শাষন করিবেন মুনসুর,
থাকিবে শত্রুর উপর ক্ষিপ্ত।

[৬৭]
আটত্রিশ থেকে আটান্ন সাল,
মুনসুরের শাষন কাল।
শত্রুর উপর বিজয়ী থেকে,
রবের দ্বীন রাখবে অটল।

[৬৮]
শাষক মুনসুরের খেলাফত শেষের
অষ্ট বর্ষ পূর্বে,
মিথ্যা ঈসা-র হবে দাবিদার,
একজন পারস্য সম্রাজ্যে।


[৬৯]
বাতিল ধ্বংসে রবের দূত,
*জামিল* নামটি তার।
ভন্ড ঈসা কে ধ্বংস করার,
রব দিবেন দ্বায়িত্ব ভার।

[৭০]
শত্রু নিধন করবে "জামিল"
হাতে রেখে "যুলফিকর"!
রক্ত নেশায় উঠবে মেতে,
সাথে রবে "সালমান" সহচর।

[৭১]
ভন্ড ঈসা কে ধ্বংস করিবে
জামিল চোয়ান্ন সালে।
বীর জামিল কে জানাইবে স্বাগতম,
মুনসুর শাষকের দলে।

[৭২]
মুনসুর তখন বানাবে জামিল কে,
তাহার প্রধান সেনাপতি।
রবের রহমতে সে বীর যোদ্ধা,
বিশ্বে পাইবেন স্বীকৃতি।

[৭৩]
তাহার পরেই ধরণি বাসী,
আগাইবে পঞ্চান্ন সালে।
জমিনের বুকে আসিবে "জাহজাহ",
ছিলো সে চোখের আড়ালে।

[৭৪]
পূর্বে কৃতদাস ছিলেন জাহজাহ,
আযাদ দিলেন রব।
ধরণির মাঝে বন্ধ করবেন,
কোলাহলের উৎসব।

[৭৫]
ছাপ্পান্ন তে যাবেন জাহজাহ
শাষন ক্ষমতায়।
দামেস্ক মসজিদে পাইবেন ইমামত,
সৎ চরিত্র ও সততায়।

[৭৬]
ষাটের শেষে দাজ্জাল এসে,
দিবে বিশ্বে হানা।
আল্লাহর রছুল (ছাঃ) বলে গিয়েছেন,
তার থাকবে এক চোখ কানা।

[৭৭]
মহা মিথ্যুক দাজ্জাল তখন,
করিবে রবের দাবি।
যে জন করিবে অস্বীকার তাকে,
সেই হইবে কামিয়াবী।

[৭৮]
দাজ্জাল সেনাদের তান্ডব লিলায়,
ঘটিবে বিশ্বে বিপর্যয়।
জাহজাহ চাইবেন সবার জন্য,
রবের রহতমের আশ্রয়।

[৭৯]
সাদা গম্বুজের দামেস্ক মসজিদে,
জাহজাহ করিবেন ইমামত।
বাষট্টি সালে গম্বুজের উপর,
রব পাঠাইবেন রহমত।

[৮০]
আছরের সময় দেখবে সবাই,
হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন।
সাদা পোষাকে নামিবেন তিনি,
দু’ পাশে ফেরেস্তা দুজন।

[৮১]
ইমাম জাহজাহ জানাইবেন তাকে,
ছলাতে ইমামতির আহ্বাবান।
হযরত ঈসা (আঃ) বলবেন তাকে,
এ তো আপনারই সম্মান।

[৮২]
যুলফিকর হাতে "লুদ্দ" এর ফটকে,
ঈসা (আঃ) তখন,
হত্যা করিবেন, কানা দাজ্জালকে,
করিয়া আক্রমন।

[৮৩]
ক্ষমতা হস্তান্তর করিবেন জাহজাহ,
ঈসা (আঃ) করিবেন শাষন।
রবের রহমতে দ্বিতীয় আগমনে,
তিনি পাইবেন উচ্চ আসন।

[৮৪]
সু-শৃঙ্খলময় শান্তি বিশ্বে,
করিবে বিরাজমান।
ছিয়াষট্টি তে ‘দাব্বাতুল আরদ’ এর,
হইবে উত্থান।

[৮৫]
পাখনা বিহীন, অসংখ্য প্রানী,
বিড়ালের অবয়ব।
বাকশক্তিহীন দাত বিশিষ্ট তাদের,
গজবে নিঃশেষ করিবেন রব।

[৮৬]
বছর শেষেই প্রাচির ভাঙ্গিয়া,
ইয়াজুজ-মাজুজ এর দল।
প্রকাশ পাইয়া আক্রমন চালাবে,
তারা জনশক্তিতে সবল।

[৮৭]
হাতে থাকিবে তীর-ধনুক আর,
আকারে থাকিবে ভিন্ন।
পশ্চাৎ হইবে পশুর ন্যয়,
দেহ সবল ও জীর্ন শীর্ন।

[৮৮]
মানব জাতীর অভিশাপ স্বরূপ,
আগমন হইবে তাদের।
হযরত ঈসা(আঃ) করিবেন দোয়া,
সাহায্য চাইবেন রবের।

[৮৯]
দুই-তৃতীয়াংশ মানব হত্যা করিবে,
প্রকাশ পাওয়ার পর।
আসমান থেকে আসবে গজব,
তাদের ঘাড়ের উপর।

[৯০]
প্রকাশ পাওয়ার সনেই হবে,
ধ্বংস পঙ্গপাল।
সুখ ও শান্তি আসিবে ফিরিয়া,
দুঃখ যাইবে অন্তরাল।

[৯১]
শাষন আমল চলিবে ইছা(আঃ)-এর,
তেতত্রিশটি বৎসর।
ওয়াফাত হবে, কবরস্থ হবে,
এই দুনিয়ার উপর।

[৯২]
এর পর চলবে দুই-তিন বর্ষ,
শান্তিময় বসুন্ধরা।
তারপর সবাই ধীরে ধীরে হবে,
আদর্শ ও ঈমান হারা।

[৯৩]
অশ্লীলতা, পাপ-পঙ্কিলতায়,
ভরে যাবে ধরণী ফের।
কাবাগৃহের উপর আক্রমন করিবে,
সৈন্যরা জর্ডানের।

[৯৪]
কাবাগৃহ ভাঙ্গবে জর্ডানী হাবশি,
একুশশত দশে তা হবে নিশ্চিহ্ন।
প্রকাশ্য জ্বেনায় মাতিবে তারা,
রাখিবে পাপের পদচিহ্ন।

[৯৫]
কাবাগৃহ ভাঙ্গার দশ বর্ষ পর,
আসিবে শিতল হাওয়া।
মুমিনেরা প্রান হারাইবে তাতে,
এটাই রবের চাওয়া।

[৯৬]
ঈমান ছাড়া পৃথিবী বাসী,
হইবে পশুর অধম।
নিকৃষ্টতার চুড়ায় পৌছাবে,
করিবে সকল সীমালঙ্ঘন।

[৯৭]
বছর শেষেই পশ্চিম দিকে,
হইবে সূর্যোদয়।
তাওবাহর দরজা হইবে বন্ধ,
আসিবে কিয়ামতের মহালয়।

[৯৮]
চলে আসিবে সেই মহা কিয়ামত,
বেশি দূরে নয় আর।
পৃথিবী বাসীকে এই কবিতায়,
করিলাম হুসিয়ার।

[৯৯]
গায়েবী মদদে পাইলাম কথন,
দুই-সহস্র-দশ-আট সালে।
অদ্ভুত এই "আগামী কথন'"
ফলে যাবে কালে কালে।

[১০০]
রহস্যময় এই পুঁথিগাথা,
খোদায়ী মদদে পাওয়া রতন।
শেষ করিলাম, আমি এক্ষণে,
পৃথিবীর “আগামী কথন”।