শুধু 'ইল্লাল্লাহ' এর যিকির বৈধ হওয়ার দলীলসমূহ

 
Written By Sanjir Habib On Feb-11th, 2018

► ১ নং দলীলঃ
হাদীসে ও আরবী ব্যাকরণে মুবতাদা (যার সম্পর্কেসংবাদ দেওয়া হচ্ছে) তাকে বাদদিয়ে শুধু সংবাদ উল্লেখ করারবহু উদাহরণ রয়েছে।
☼ যেমন, নতুন চাঁদ দেখার সময় هذا هلال(এইযে চাঁদ) এর স্থলে শুধু هلال- هلال চাঁদ-চাঁদ বলার প্রচলনচলে আসছে।
☼ হযরত বেলাল (রা.) কে কাফেররা শাস্তি দেওয়ারসময় তিনি শুধু احد-احد (এক-এক) বলে ছিলেন, অর্থাৎ আমার রব একক তাঁর কোন শরীক নেই।
তদ্রুপ ‘ইল্লাল্লাহ" এরযিকির যা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা ব্যতীত জায়েয। কেননা প্রথমে অনেক বার ‘লা ইলাহা’ ‘কোন মাবুদ নেই’ বলা হয়েছে। এরপর সংবাদ দেওয়া হচ্ছে যে, ‘ইল্লাল্লাহ’ ‘আল্লাহ ছাড়া'।অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই” একথাটিই বার-বার বলা হচ্ছে। এধরণের কথা উক্ত বাক্যগুলোর মতো নিঃসন্দেহে বৈধ।
► ২ নং দলীলঃ
নামাজের মত ফরজ ইবাদতের সময় নামাজী ব্যক্তি কেরাত পাঠ করার ক্ষেত্রে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত তেলাওয়াত করার সময় যদি (مستثنى منه) যার থেকে পরের কথাটি বাদ দেওয়া হচ্ছে সেটা উল্লেখ না করেই শুধু (مستثنى) যে হুকুমটি বাদ দেওয়া হচ্ছে। সে অংশটা তেলাওয়াত করেন তাহলে নামাজ সহী হয়ে যায়।
☼ যেমন সূরাতিনে যদি এমনভাবে পড়া হয় যে,
اِلاَّ الَّذِيْنَ اَمَنُوْا وَعَمِلُوْا الصَّلِحَاتِ فَلَهُمْ اَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُوْنَ فَمَايُكَذِّبُكَ بَعْدُ بَالدِيْنَ اَلَيْسَ اللهُ بِاَحْكَمِ الْحَاكِمِيْنَ
অর্থ : তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছেন ও সৎকাজ করেছেন,তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। অতঃপর কেন তুমিকেয়ামতকে অস্বীকার করছ? আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যেশ্রেষ্ঠতম বিচারক নন?
☼ অথবা সূরা গাশিয়ায় পড়া হল, إِلاََّمَنْ تَوَلىَّ وَكَفَرَ فَيُعَذِّبُهُ اللهُالعَذَابَ الاكبر অর্থ : ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ওকাফের হয়ে যায়। আল্লাহ তাকে মহা আযাব দিবেন।
এ ধরণের আয়াত পড়ার দ্বারা যদি নামাজে কেরাতের মতো ফরজ বিধান আদায় হয় এবং এতে কোন অসুবিধা না হয় তাহলে যিকিরের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে তা পড়া বৈধ হবে।
► ৩ নং দলীলঃ
আরবী ভাষার নিয়মনীতি অনুসারে দশটি জিনিস এমন রয়েছে, যেগুলোর পূর্বের আলোচনা ব্যতীত তার দিকে জমীর (সর্বনাম) ফিরানো যায়। যেমন (১) আল্লাহ তাআলা (২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (৩) কুরআন (৪) মাহবুববা প্রেমাষ্পদ (৫) ঘোড়া (৬) উট (৭) আসমান (৮) জমিন (৯) সূর্য (১০) তরবারী। এগুলোর কয়েকটি উদাহরণ উল্লেখ করা হচ্ছে।
☼ ১নং উদাহরণঃ وَاعْلَمْ اَنَّهُ لاَاِلَهَ إِلاَّ اَنَا فَاعْبُدْنِىْ এ আয়াতে 'ه’ (হু) সর্বনামটি আল্লাহ পাকের দিকে ফিরেছে। অথচ পূর্বে তাঁরকোন আলোচনা হয়নি। এ ধরণের উদাহরণ কুরআন ও হাদীসেঅনেক রয়েছে।
☼ ২নং উদাহরণ : لَهُ وَمَاعَلَمَّنَاهُ الشِّعْرَوَمَا يَنْبَغِىْ এ আয়াতে “ه” (হু) সর্বনাম দুইটি রাসূলের দিকে ফিরেছে, অথচ পূর্ববর্তীনিকটে তাঁর কথা উল্লেখ নেই।
এ ধরণের ব্যবহার বৈধ হওয়ার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়,আলোচ্য ব্যক্তি যেহেতু সর্বদা অন্তরে বিদ্যমান। তাই পূর্বে তাঁরকথা উল্লেখ করা ছাড়াই সরাসরি সর্বনাম ব্যবহার করা বৈধ।(দেখুন : লিসানুল আরব ও ফিকহুল লুগাত)
আরবী সাহিত্যিকগণের নিয়মানুযায়ী যদি পূর্বে আলোচনা ছাড়াই সর্বনাম ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে যিকিরকারী আল্লাহরপাগল যার অন্তরে আল্লাহ সর্বদা বিদ্যমান। তিনি কেন শুধুالاالله ‘ইল্লাল্লাহ’ এর যিকির করতে পারবেন না আর তা কেনবেদআত হবে?
► ৪ নং দলীলঃ
কুরআন হাদীস ও আরবী ব্যাকরণের বহু স্থান এমন রয়েছে যেখানে বিভিন্ন শব্দকে রহিত করা হয়েছে।
যেমন কুরআন শরীফে আছে, خيرا لكم এখানে মূল ছিল, انتهواعن التثليث واقصدوا خيرا لكم এ বাক্য মূল ক্রিয়া তথা ফেয়েলانتهوا কে রহিত করে শুধু خيرا لكم উল্লেখ করাহয়েছে। সূরা ইউসূফে আছেيوسف اعرض عن هذا এখানেমূলত ছিল يا يوسف اعرض عن هذا বুখারী শরীফে আছে,اياك ومكارم اموالهم অথচ এখানে মূল ক্রিয়া ফেয়েলকে রহিতকরা হয়েছে, যা মূলত ছিল, اتقك ومكارم اموالهم আরবীব্যাকরণে আছে, زيدا ضربته যা মূলত ছিল ضربت زيداضربته কুরআন, হাদীস ও আরবী ব্যাকরণে এ ধরণের আরো অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে, যেখানে মূল ও বিশেষ বিশেষ শব্দকে রহিত করে তার পরবর্তী শব্দকে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাহলে যিকিরকারী আল্লাহর আশেকগণ বহুবার পূর্ণ কালিমা لااله إلاالله(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বলার পর لااله (লা ইলাহা) কে রহিত করেশুধু الاالله(ইল্লাল্লাহ) বললে কেন দোষ হবে? বরং কুরআন,হাদীস ও আরবী ব্যাকরণে যখন বিভিন্ন স্থানে বিশেষ বিশেষশব্দ রহিত করার বৈধতার প্রমাণ রয়েছে। তখন যিকিরের সময়আল্লাহকে অন্তরে বদ্ধমূল করার জন্য শুধু الاالله (ইল্লাল্লাহ) বলাযে, বৈধ হবে তা সুস্পষ্ট।
◙ “ইল্লাল্লাহ” যিকির সম্পর্কে হাকীমুল উম্মতের ফতোয়া ◙
► ৫ নং দলীলঃ
হাকীমূল উম্মত মুজাদ্দেদে মিল্লাত হযরতমাওলানা শাহ আশরাফ আলী থানভী (রহ.) ‘ইমদাদুল ফতোয়া'নামক কিতাবেالاالله (ইল্লাল্লাহ) যিকির বৈধ হওয়ার প্রমাণ পেশকরে বলেন, হাদীসে مستثنى منه অর্থাৎ যার থেকে পরেরকথাটি বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেটা উল্যেখ না করেই مستثنى অথাৎ যে হুকুমটি বাদ দেওয়া হচ্ছে শুধু সেটা উল্লেখ করারপ্রমাণ রয়েছে। مستثنى منه উহ্য রাখার প্রমাণ, বুখারী শরীফে১খ, ২২পৃ. রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একঘটনায়الاالاذخر-الاالاذخر বলেছেন। অর্থাৎمستثنى منه উহ্যরেখে শুধু مستثنى উল্লেখ করেছেন। (আর আমাদের আলোচিতমাসআলায়ও مستثنى منه -لااله (লা ইলাহা) উহ্য রেখে শুধুمستثنى - الاالله (ইল্লাল্লাহ) উল্লেখ করা হয়।
সুতরাং শুধু الاالله (ইল্লাল্লাহ) এর যিকির বৈধ। আর এখানেمستثنى منه গোপন রাখার ব্যাপারে দুই প্রকার দলীল রয়েছে(১) যিকিরকারী প্রথমে পূর্ণ কালিমা যিকির করার পর শুধু الالله(ইল্লাল্লাহ) এর যিকির করেন। সুতরাং الاالله (ইল্লাল্লাহ) যিকিরেরসময় পূর্বে উল্লেখিত لااله (লা-ইলাহা) এর উপর ভিত্তি করেইতা বলতে থাকেন।
প্রত্যেক মুসলমান সর্বদা গায়রুল্লাহকে দূর করে এক আল্লাহকেঅন্তরে প্রতিষ্ঠা করেন। সুতরাংالاالله (ইল্লাল্লাহ) বলার সময় لااله(লা ইলাহা) অন্তরে বিদ্যমান থাকে। এ দিকে লক্ষ্য করেই الاالله(ইল্লাল্লাহ) এর যিকির বৈধ বলা হয়।
(ইমদাদুল ফতোওয়া ৫ খ, ২২৩ পৃ,)
সারকথা : হাকীমুল উম্মত মুজ্জাদ্দেদে মিল্লাত হযরত মাওলানাশাহ আশরাফ আলী থানভী (রহ.)ও হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণকরলেন যে,শুধু الاالله 'ইল্লাল্লাহ’ এর যিকির করা বৈধ।
◙ “ইল্লাল্লাহ” যিকির সম্পর্কে শায়খুল হাদীস জাকারিয়া (রহ.) এরফতোয়া ◙
শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা মুহাম্মদ জাকারিয়া (রহ.) বলেন, “আত-তাকাশশুফ” নামক কিতাবের ৭০২ পৃ. আছে, শুধুإلاالله “ইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” এর যিকিরের ব্যাপারে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে. إلاالله “ইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” এর অর্থ : আল্ল্ল্লাহ ছাড়া। এর পূর্বে ও পরের সাথে কোন সম্পর্ক না থাকায় কথাটি অর্থবহ নয়। এমন যিকিরে কোন নেকী হয় না। সুতরাং তা অর্থহীন ও বেহুদা। তাই এ নিরর্থক কাজ কেন করা হয়? এই প্রশ্নের জবাব নিম্নরূপঃ-
► ৬ নং দলীলঃ
(১) বোখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস যামেশকাত শরীফের ২৩৮ পৃ. আছে। মক্কা বিজয়ের দিনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবায় বললেন,মক্কা শরীফের ঘাস কাটা হারাম। তখন হযরত আব্বাস (রা.)বললেন, ইয়া রাসূলুল্ল্ল্ল্লাহ! الاالاذخر ইজখির ঘাস ছাড়া।তখন তিনি বললেন, الاالاذخر ইজখির ঘাস ছাড়া। এ হাদীসদ্বারা প্রমাণিত হল, কোন আলামত পাওয়া গেলে পূর্বে বর্ণিতকোন বাক্যের একাংশের উচ্চারণ দ্বারা সে পূর্ণবাক্য বুঝানোবৈধ হয়। আর “ইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” এর ক্ষেত্রে ঠিক তেমনি হয়েছে।কেননা এর পূর্বে দু'শবার “লা-ইলাহা ইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” এরপূর্ণবাক্যের যিকির করা হয়েছে। আর মু'মিনের আকীদা ও তাঁরঅন্তরে সর্বদা “লা-ইলাহা ইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” থাকে। এর উপর ভিত্তিকরে শুধু “ইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” বার-বার বললে ক্ষতি কোথায়?
► ৭ নং দলীলঃ
(২) প্রথমে যখন দু'শবার لاإله إلاالله “লা-ইলাহাইল্লাল্ল্ল্ল-াহ” এর যিকির করা হল বা সে কালেমা বলা হলতখন পরবর্তী চার'শ বার সে لاإله إلاالله “লা-ইলাহাইল্লাল্ল্ল্ল্লাহ” এর একাংশ “ইল্লাল্ল্লাহই” বলা হচ্ছে। কেমন যেনতাতে হুবহু সে কালিমাই বলা হচ্ছে। প্রথম অংশ অন্তরেগোপন থাকে আর দ্বিতীয় অংশ যবানে প্রকাশ পায়। তাই প্রথম দু'শ বার “লা-ইলাহা” এর সাথে দ্বিতীয় বার শুধু “ইল্লাল্লাহ” শব্দটিকে যোগ করে ৪০০ বার বলা হল এবং প্রত্যেক বারই তার সাথে লা-ইলাহা অন্তরে গোপন রইল এতে দোষ কি হতে পারে?
◙ “ইল্লাল্লাহ” এর যিকির সম্পর্কে দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়া ◙
► ৮ নং দলীলঃ
শুধু ‘ইল্লাল্লাহ’ শব্দের যিকির করা মাশায়েখদের নিকট যে প্রচলিত আছে তা বৈধ। কেননা এর দ্বারা (নফী) নাকরার পর (ইসবাত) হ্যা করা উদ্দেশ্য। এটা এ জন্য যে,মাশায়েখগণ প্রথমে অনেকবার পূর্ণ কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'এর যিকির করেন। তারপর 'লা-ইলাহা’ নফীকে বাদ দিয়ে শুধুইছবাত ‘ইল্লাল্লাহ’ এর যিকির করেন। আর এটা স্পষ্ট যে, শুধুالاالله ‘ইল্লাল্লাহ’ এর যিকির দ্বারা উদ্দেশ্য হয়, আল্লাহ ছাড়াকোন মাবূদ নেই।
(ফতোয়া দারুল উলূম দেওবন্দ ৪ খ, ৬৬ পৃ,)
◙ যিকিরের একই শব্দ বার-বার বলা কেমন ◙
আর যে সমস্ত শব্দকে গুরুত্বের জন্য বার'বার আনা হয়, তাকেবার'বার আনার কোন সীমারেখা থাকে না। বিষয়টা যতগুরুত্বপূর্ণ হবে তাকে ততবেশী উল্লেখ করা হবে। যেমন অনেকবর্ণনায় এসেছে যে, কোন কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও কথাটি বার-বার বলতেন।
যেমন,
(৭৭) عن أبي بكرة عن أبيه رض قال رسول الله صلي اللهعليه و سلم ألا أنبئكم أكبرالكبائرثلاثا فما زال يكررها حتىقلنا ليته سكت (بخاري شريف رقم الحديث ২৬৫৪)
(৭৭) অর্থ : হযরত আবু বাকরাহ (রা.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনাকরেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গোনাহ সম্পর্কে সর্তক কবরনা? কথাটি তিনি তিন বার বললেন, এমনকি আমরা (মনে মনে) ভাবছিলাম, হায় তিনি যদি চুপ করতেন। (বুখারী শরীফ, হাদীসনং ২৬৫৪)
এ জাতীয় আরো অনেক হাদীস আছে। হযরত উসামা (রা.) একব্যক্তিকে মুনাফেক মনে করে হত্যা করে দিলেন। ঐ ঘটনারমধ্যে এটাও উল্ল্ল্লেখ আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই কথা বারবার বলছিলেন, কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তিযখন “লা-ইলাহা ইল্লাল্ল্ল্লাাহ” নিয়ে আসবে তখন তুমি কিউত্তর দিবে? (মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ ২৯৯ পৃ.)
মেশকাত শরীফের কিতাবুল জেহাদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আরো একটা জিনিস রয়েছে যাদ্বারা জান্নাতে আল্ল্ল্ল্লাহ পাক বান্দার এমন একশত মর্তবা বৃদ্ধিকরবেন। যার প্রতিটির দূরত্ব হল আসমান ও জমিনের দূরত্বেরন্যায়। তখন জনৈক সাহাবী বললেন, ঐ জিনিসটা কি? উত্তরেতিনি বললেন,
الجهاد فى سبيل الله الجهاد فى سبيل الله الجهاد فىسبيل الله (مشكوة شريف ج২ ص ৩৩৪)
অর্থ : আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ, আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ,আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ, তিনবার বললেন। যারা হাদীস পড়েন ও পড়ান তাঁদের কাছে এটা অস্পষ্ট নয়। শত-শত হাদীসে একই শব্দকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বার-বার বলেছেন।
(শরীয়ত ও তরীকত থেকে কিছু সংযোগসহ)।