প্রথম কথা হলো কোরআন তিলওয়াত করতে হবে, শিখতে হবে, মুখস্ত করতে হবে, চিন্তা করতে হবে,

 
Written By Sanjir Habib On Dec-16th, 2017

প্রথম কথা হলো কোরআন তিলওয়াত করতে হবে, শিখতে হবে, মুখস্ত করতে হবে, চিন্তা করতে হবে, বুঝতে হবে, তফসির পড়তে হবে সব করতে হবে।

বিভিন্ন মুসলিমদের নিচের কথাগুলোতে যেন ধোকায় না পড়ে যাই।

“অর্থ না বুঝে তোতা পাখির মত কোরআন পড়ে কোনো লাভ নেই।”

তিলোয়াতের প্রতি হরফে ১০ নেকি আর আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া যাবে। অর্থ না বুঝে পড়লেও।

“উস্তাদের কাছে ছাড়া নিজে নিজে কোরআনের অর্থ বুঝতে গেলে গোমরাহ হয়ে যাবেন।”

নিজে নিজে এই যুগে কেউ অর্থ বাহির করে না। সবাই তফসির অনুবাদ পড়ে বুঝে। যে অনুবাদ সে নিজে লিখে নি। বরং যে আলেমগন কোরআন বুঝতেন তারাই লিখেছেন।

“শেষ যুগে ফিতনার কারন হবে এই সব ক্বারীরা।”

হাদিস অস্বিকার করছি না। কিন্তু ক্বারী বলতে এই হাদিসে শেষ যুগের সমস্ত কোরআন তিলওয়াতকারীদের বুঝিয়েছে নাকি ভিন্ন কাউকে – সেটা না বুঝে এই এক কথার উপর সবাই কোরআন পড়া ছেড়ে দিলে সেটা হবে শয়তানের ধোকায় পড়ে যাওয়া।

“কোরআনের মনগড়া তফসির যে করলো তার ব্যপারে সাবধানবানী।”

এর উপর আলেমদের অনেক ব্যখ্যা আছে। শুধুমাত্র সহি হাদিস থেকে যে ব্যখ্যা পাওয়া যায় সেটা ছাড়া কোনো আয়াতের উপর কমেন্ট করা যদি নিষিদ্ধ হতো তবে তফসিরের কিতাবগুলোতে হাদিসের কোটেশন ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া যেতো না। কিন্তু সত্য হলো বড় বড় আলেমগন অনেক তফসির করে গিয়েছেন যেগুলো সরাসরি সহি হাদিস থেকে আসে নি।

আর তফসিরের বই পড়া মানে নিজে তফসির করা না। আরেকজনের তফসির পড়ে নিজে কি বুঝলাম সেটা রি আইটারেট করা, “আমি এই বুঝলাম।”