মাজহাবগত পার্থক্য - ১২ : অন্যান্য দল

 
Written By Sanjir Habib On Mar-16th, 2017

মাজহাবগত পার্থক্য - ১২ : অন্যান্য দল


মনে করেন আমি এলাকার বাজার মসজিদে নামাজ পড়ি, অন্যজন শাহি মসজিদে নামাজ পড়ে। এর পরও আমরা আলাদা দল হবো না। কারন যে কেউ যে কোনো মসজিদে গিয়ে নামেজ পড়তে পারে। কারো আপত্তি নেই।

কিন্তু যখন বাধা দেয়া হয়, “এই! তোরা কেউ ঐ মসজিদে যাবি না” তখন দল তৈরি হলো।


আকিদার দিক থেকে এ দেশে হানাফিদের মাঝে দুটো ভাগ আছে।
হানাফি/দেওবন্দি
হানাফি/বেরলভি

আর আকিদা/মাসালার দিক থেকে সালাফিদের মাঝে এই ভাগগুলো আমার চোখে পড়েছে।

সালাফি/সৌদি সরকারী
সালাফি/আল-আজহারী
সালাফি/জিহাদী


দেওবন্দি-বেরলভী:

বেরলভিরা “রিজভি” বা “ছুন্নি” পরিচয়েও নিজেদের আলাদা করে। দেওবন্দিদের সাথে তাদের আকিদাগত তিনটা বড় পার্থক্য: রাসুলুল্লাহ ﷺ নূরের তৈরি, উনি হাজির নাজির, এবং উনি ইলমে গায়েব জানেন – এর ব্যখ্য নিয়ে।

এর উপর ভিত্তি করে বেরলভিদের মতে দেওবন্দিরা কাফের।


“সালাফি” একটা আমব্রেলা টার্ম। আমি সালাফি বলতে সৌদি সরকারী ধারাকে এতদিন বুঝিয়েছি।

এর বাইরে একটা ধারা আছে যার উৎস আমি ধারনা করছি মিশরের আল আজহার ভার্সিটি। এরা অনেক লিবারেল। যেমন মেয়েদের হিজাবে মুখ ঢাকার দরকার নেই, এরকম। এই ধারাটা ইউরোপ আমেরিকাতে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। বাংলাদেশে ছাত্রদের মাঝে এই ধারাটা জনপ্রীয় ছিলো হিজবুত তাহরিরের মাধ্যমে ২০০০ এর দশকে।


তবে মাজহাবগত পার্থক্যে সালাফিদের আকিদা-মাসলা নিয়ে অমি যা লিখেছি সেটার অনেক কিছুর সাথে এদেশে সালাফি ঘরানার বর্তমান ভার্সিটির ছাত্ররা অমিল পাবেন। কারন বর্তমানে ছাত্রদের মাঝে “সৌদি সরকারি” ধারাটা জনপ্রীয় না। বরং তাদের মতে সৌদি সরকার হলো কাফের বা বাতেল।

এই তৃতীয় ধারাটাকে আমি একটা সফট টার্ম দিতে পারি “মানহাজী"। কারন তা না করে প্রথমে যে নামটা ব্যবহার করেছিলাম সেটা বেশি বেশি ব্যবহার করলে আমার স্টেটাস সরকারী ফিলটারে পড়ে যেতে পারে। : -)

পরবর্তি খন্ডে: এদেশে সালাফিদের যে চারটা ধারা আমার চোখে পড়েছে ৮০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত, তার বর্ননা।

#HabibDiff