প্রশ্ন: “কিছু উপদেশ দেন”
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা ইয়ং ছেলেরা জিজ্ঞাসা করে। যদি একটা মাত্র উপদেশ দিতে আমাকে কেউ বলে তবে আমি তাকে বলবো কোরআন শরিফ হাফেজি করা আরম্ভ করেন।
“কিন্তু এটা তো বিশাল কাজ। সম্ভব না। প্লাস আমার বয়স এখন ২০।”
ধিরে ধিরে করতে হবে। সামনের ৪০ বছরে করবেন টার্গেট করেন। প্রতি বছর ১ পারা করে মুখস্ত করলেও পারবেন ইনশাল্লাহ।
“কিন্তু আমি তো ভালো মত পড়তেই পারি না।”
আগে পড়া শিখতে হবে। যে কোনো আলেমের কাছে বছর খানেক পড়ে শিখে নিন। এটা নিজে নিজে পারবেন না।
“তার পরও জিনিষটা একটু বাড়া বাড়ি মনে হয়। আমি পারবো না।”
কমপক্ষে যতটুকু মুখস্ত আছে সেটা শুদ্ধ করতে থাকেন। এবং মুখস্তকৃত সুরার পরিমান বাড়াতে থাকেন। এটা পারবেন ইনশাল্লাহ। এবং নিজের জীবনে এটাই সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে।
“কিন্তু না বুঝে মুখস্ত করা তো বেকার। আমি গড় গড় করে শুধু তোতা পাখির মত…. আল্লাহ তায়ালা কি কোরআন শুধু সকাল বিকাল পড়ার জন্য নাজিল করেছে?…. বরং এটা পড়ে সমাজ গড়তে হবে। যদি আমি আমার বাপের চিঠি সকাল বিকাল পড়ি চুমা দেই আর সেল্ফে তুলে রাখি তবে উনি কি খুশি হবেন?…”
ঠিক কথা।
এই লাষ্ট কথাটা যে বলে তাকে আর এই লাইনে নতুন কোনো উপদেশ দেই না। সে তার পথ ঠিক করে নিয়েছে। তর্কে লাভ নেই। নচেৎ বড় হয়ে কিভাবে হিফজ করবেন তার উপর কিছু উপদেশ দেই। সেটা পরবর্তি কোনো পোষ্টে লিখবো ইনশাল্লাহ।
#MemorizeQuran
পরবর্তি খন্ড:
বড় হবার পরেও কিভাবে কোরআন মুখস্ত করবেন?
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154254809338176