বাংলাদেশে আহলে হাদিসরা আসরের আজান দেয় সাড়ে তিনটার দিকে। হানাফি মাজহাবে তখনো

 
Written By Sanjir Habib On Nov-2nd, 2014

বাংলাদেশে আহলে হাদিসরা আসরের আজান দেয় সাড়ে তিনটার দিকে। হানাফি মাজহাবে তখনো আসেরর ওয়াক্ত হয় না। কিন্তু মক্কা শরিফে আসরের নামাজ আহলে হাদিসদের সময়ের হিসাব ধরে হয়। হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা তাহলে হজ্জে গেলে কি করবে?

এ ব্যপারে ফতোয়া খুজে প্রথমে জানলাম: হারাম শরিফের জামাতের সাথে পড়লে নামাজ হয়ে যাবে। এটা ঐক্যের জন্য।

শুনে খুশি হলাম। হবে না বললেও আমি ইনশাল্লাহ পড়তাম, কারন জামাত ছাড়ার কোনো মানে নেই।

মনে করেছিলাম এটা শুধু মসজিদুল হারামের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু মদিনা শরিফে?

জানলাম তাও হবে। কেন, সেটা আর খুজলাম না।

কিন্তু জেদ্দায়? ওখানে যদি আমি কোনো মসজিদে পড়ি?

জানলাম হাম্বলি মাজহাবের যে কোনো ইমামের পিছনে হবে। যদি ইমামের নমাজ তার ওয়াক্ত মোতাবেক হয় তবে আমারও হবে।

ভালো কথা।

এবার নতুন সমস্যা হল ইমাম যদি বাংলাদেশী ও হানাফি হয়? যেমন মিনার দিনগুলোতে সবাই মক্কার আসরের সময় ধরে আজান দিয়ে তাবুতে নামাজ পড়ে। তারা এত সব মাসলা-হিসাব বুঝে না। আমি নিজে বোঝাতে গেলে ফিতনা দেখা দিবে। তখন কি করব?

কঠিন সমস্যা।

ফতোয়া খুজতে লাগলাম। যাকে বলে “ফতোয়া মার্কেটিং"।

পেলাম: সাহেবাইন, মানে ইমাম মুহাম্মদ ও ইউসুফের মতে আসের নামাজ সময়, আহলে হাদিসের সময় মতই হয়। তাই কোনো হানাফী মাজহাবের অনুসারী যদি এই মাসলার ক্ষেত্রে সাহেবাইনদের অনুসরনের নিয়ত করে তবে তার নমাজ হবে।

দুর্দান্ত ফতোয়া। পেয়ে খুবই খুশি হলাম। কারন অধিকাংশ দেশে এবং এয়ারপোর্টে ওই সময়ই আসরের নামাজ হয়। এখন নিশ্চিন্তে সেগুলো ধরা যাবে।

তবে এখন থেকে আমাকে জোহরের নামাজ ৩ টার আগে পড়তে হবে। এর পরে পড়লে কাজা।